স্টাফ রিপোর্টার:
ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব সংস্কার আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা চলছে বলে দাবি করেন ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সজীব রাজভর বিপিন। তিনি বলেন ময়মনসিংহের অধিকার বঞ্চিত সাংবাদিকগন গত তিন বছর যাবত ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের বিরুদ্ধে সভাপতি জেলা প্রশাসক (ডিসি) বাতিল, সাংবাদিক ছাড়া অন্য পেশার সদস্য পদ বাতিল, কালো আইন পরিবর্তন সহ কিছু যৌক্তিক দাবি নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আওয়ামী মদদপুষ্ট এই প্রেসক্লাবটি অধিকার বঞ্চিত সাংবাদিকদের আন্দোলনকে বান চালের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রতিবাদী সাংবাদিকদের মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছিল। গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে দেশ জুড়ে সর্বক্ষেত্রে সংস্কারের হাওয়া বইতে শুরু করে। দেশব্যাপী এই সংস্কারের ধারাকে অক্ষুন্ন রাখতে আমরা অধিকার বঞ্চিত সাংবাদিকগন গত ২০ আগস্ট ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাব সংস্কারের দাবিতে প্রেস ক্লাবে অবস্থান করছিলাম। কিন্তু আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে বানচাল করার জন্য বহিরাগত কিছু সন্ত্রাসী ময়মনসিংহ লাইভের বিতর্কিত সাংবাদিক( ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও চাঁদাবাজির মামলায় ডিবির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন)কাইয়ুমের নেতৃত্বে আমাদের নারী সাংবাদিকদের উপর হামলা চালায়। এ সময় তাদের হামলায় এশিয়ান টিভির জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক তাসলিমা রত্না সহ আরো কয়েকজন নারী সাংবাদিক আহত হয়। মারধরের এই ভিডিও ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপনারা দেখে থাকবেন। এই ঘটনার পরপরই প্রেসক্লাবের সদস্য বিএনপি পন্থী সাংবাদিক সাইফুল বিএনপির দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি রোকনুজ্জামান সরকার রোকনকে খবর দেয়। তিনি প্রেস ক্লাবে এসেই প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকদের পক্ষ নিয়ে সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত সাংবাদিকদের সাথে উচ্চবাচ্য শুরু করেন। এই ঘটনার একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ভিডিওতে আপনারা দেখবেন বিএনপি নেতা রোকনুজ্জামান সরকার রোকন সাংবাদিকদের উচ্চস্বরে ধমকাচ্ছেন এবং একপর্যায়ে সিনিয়র সাংবাদিক রবিন ভাইকে ১৬ বছর কি করেছেন ? বলে কটুক্তি করেন। আমরা যদি সেখানে ভাঙচুর করতাম তাহলে তারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে খবর দিতে পারতেন। কিন্তু তা না করে বিএনপি নেতা রোকনকে ডেকে আনা, সাংবাদিকদের সাথে উদ্ধতপূর্ণ আচরণ ও কটুক্তি পষ্টতই প্রমাণ করে আওয়ামী মদদপুষ্ট ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাব খোলস পাল্টিয়ে বিএনপির মদদে প্রেসক্লাব নিজেদের দখলে রাখতে চাচ্ছে।বিএনপি নেতার এমন আচরণ ময়মনসিংহবাসী ও সাংবাদিক মহলে অসন্তোষ ও খুবের সৃষ্টি করেছে। আপনারা জানেন সাংবাদিকদের কোন রাজনৈতিক দল নেই তারা নিরপেক্ষ সংবাদ প্রচারে বদ্ধপরিকর। আমরা পষ্ট করে জানিয়ে দিতে চাই অতীতের আওয়ামী সরকারের মদদ পুষ্ট এই প্রেসক্লাবকে বর্তমানে বিএনপি অথবা অন্য কোন রাজনৈতিক দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নের কারখানা করা যাবে না। ঐ দিনের ঐ ঘটনাকে প্রশ্নবিদ্ধ ও ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য গত ৪ সেপ্টেম্বর আমাদের সময়, যুগান্তর, ব্রহ্ম পুত্র এক্সপ্রেস ও এন টিভি অনলাইনে “ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাবে হামলা ভাঙচুরের ঘটনায় নিন্দা: প্রতিবাদ শিরোনামে সংবাদ প্রচার করা হয়। যা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস এর নিউজে ‘হিন্দু ধর্মালম্বী সাংবাদিক’ উল্লেখ করে হিন্দু ধর্মালম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, সাংবাদিকদের মাঝে ধর্মীয় বিভাজন সৃষ্টি,সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে কটাক্ষ করা হয়েছে। এই বিষয়ে আইন আনুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস পত্রিকাটি বন্ধের জোর দাবি জানাচ্ছি। লিখা হয়েছে আমরা প্রেসক্লাবে ভাঙচুর করেছি এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা।এর স্বপক্ষে কোন প্রমাণ তারা দেখাতে পারবে না। আমরা ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এইসব অপপ্রচারের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ষড়যন্ত্রকারীদের কোন ষড়যন্ত্রই আমাদের এই ন্যায্য আন্দোলনকে দমিয়ে রাখতে পারবেনা। আমাদের যৌক্তিক দাবি পূরণের মাধ্যমে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব সংস্কার না করা পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।